জমে উঠেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। দীর্ঘ ৬ মাস আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য এক ডজন প্রার্থী মাঠে নেমে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ফেস্টুন আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌরসভার অলিগলি।

প্রার্থীরা উঠান বৈঠকসহ মতবিনিময় সভা, কর্মী সমাবেশ, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চালিয়ে আসছিলেন। একই সাথে চলছিল দলীয় মনোনয়ন পেতে যে যার মতো জোর তদবির।

নগরকান্দা পৌর নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একডজন মেয়র প্রার্থী তাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। মেয়র পদে নির্বাচিত হলে তারা কী কাজ করবেন তারও ফিরিস্তি তুলে ধরছেন জনগণের কাছে।

এসব কিছুকে ছাপিয়ে এখন সাধারণ ভোটারদের মাঝে একটাই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি হচ্ছেন কে? একডজন প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা নৌকা প্রতীক না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান সুইট, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, সাবেক যুবলীগ নেতা আরিফ আহমেদ বিপ্লব, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান পান্নু, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিমাই সরকার, লস্করদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুল আলম বাবলু ও সাবেক মেয়রের ভাতিজা মনিরুজ্জামান তুহিন।

সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা তাদের রাজনৈতিক পদ-পদবি এবং রাজপথের ভূমিকা তুলে ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নৌকা প্রতীক পেতে। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের কেউ কেউ বলেছেন, যদি তারা দলের মনোনয়ন না পান তাহলে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

এদিকে, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চোখে না পড়লেও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে তিনজনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।

তারা হলেন-পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি আলিমুজ্জামান সেলু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় রয়েছেন লন্ডন প্রবাসী মাসুদুর রহমান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই