৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:১৮

পৌর নির্বাচন: উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

পৌর নির্বাচন: উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে আসন্ন পৌর নির্বাচন। ঘনকুয়াশা, কনকনে শীত আর করোনাকে চোখ রাঙ্গিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতিও। ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত পদপ্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আনজুমান আরা বন্যা। বিএনপির মনোনীত (ধানের শীষ) শরিফুল ইসলাম শরিফ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত (হাত পাকা) আনোয়ার হোসেন।

পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে এমন প্রার্থীকে এবার বেছে নিতে চান পৌরবাসী। রাত-দিন প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পাড়া মহল্লায় ঝুলছে ছবিযুক্ত পোস্টার আর দুপুর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলছে পৌর শহরের অলিতে গলিতে চলছে প্রচারে মাইকিং। হিমেল হাওয়া আর মাঘের কনকনে শীতেও বসে নেই প্রার্থীরা তাই গরম কাপড় পরিধান করে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি ভোটের জন্য নানান ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীরা। তবে বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। রাত-দিন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনজুমান আরা বন্যা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হাট-বাজার ও বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠকসহ পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। অপরদিকে বসে নেই বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ তিনি অনেক আগে থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠে নৌকা ও ধানের শীষ দাপিয়ে বেড়ালেও মাঠে তেমন দেখা যাচ্ছে না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে। নীরবেই চলছে তাদের প্রচারণা। চলছে তাদের প্রচার মাইকিং আর মাঝে মধ্যে কিছু স্থানে দেখা যাচ্ছে ব্যানার-পোস্টারসহ লিফলেট বিতরণ।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঠাকুরগাঁও পৌরসভা আর প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা লাভ করে ১৯৯৭ সালে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৫৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও নয় জন সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৬০ হাজার ৭২৭ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ৩১ হাজার ১৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ২৯ হাজার ৭১২ জন।

নতুন ভোটাররা জানান, এ বছরে প্রথম ভোটার হয়েছি। তবে গত নির্বাচন গুলোও দেখেছি। বর্তমান মেয়রের পাঁচ বছর মেয়াদে পৌরসভার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। অনেকেই নির্বাচনের আগে নানা ধরনের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ভোটে জয়যুক্ত হওয়ার পর কেউ আর খোঁজ নেয় না।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনজুমান আরা বন্যা বলেন, বিএনপি প্রার্থীকে দেখলে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেয়। কেননা তারা জয়ী হলে কোন উন্নয়ন হয় না। পৌরবাসীর উন্নয়নের জন্য অবশ্যই দলীয় প্রার্থীকে মানুষ ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবে। আর আমি জয়ী হলে পৌরসভার যত সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, আপাতত ভালভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছি। আমার দলের কর্মীরা আমাকে জয়ী করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে  যাচ্ছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো ইনশাল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে ভালোভাবেই প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছি। মানুষ আমাদের পাশে আছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমরাই জয়ী হবো।

জেলা রিটার্নিং অফিসার জিলহাজ উদ্দিন বলেন, কোনো ধরনের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পৌরসভায় এবার ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে কি না তা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর