পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে প্রার্থীদের পল্টাপাল্টি অভিযোগ, নির্বাচনী অফিসে ককটেল হামলা, মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটলেও ভোটের দিন কোথায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে নির্বাচনে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী ওজিউল ইসলাম ওজুল মিয়া। তিনি জানান, জালমাছমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রাধাকান্তপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভোটারদের সঙ্গে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী ও বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীরা উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য কেন্দ্রের কাছেই মিছিল করেছে, বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়েছে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে নেয়া হয়েছিলো বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, ১৫টি কেন্দ্রে রবিবার সকাল ৮ টায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সবকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ইভিএমে। নারী ও পুরুষরা আলাদা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের ভোট দেন। ১৫ টি কেন্দ্রে ১০৩ টি কক্ষে ইভিএমের মেশিনে ভোট নেয়া হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টির একজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সাধারণ কাউন্সিল পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৬ জন প্রার্থী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল