২২ মার্চ, ২০২১ ২০:২৮

কালকিনিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারণায় হামলায় আহত ৯

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

কালকিনিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারণায় হামলায় আহত ৯

মাদারীপুরের কালকিনিতে পৌরসভা নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তার ৯ জন সমর্থক ও নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রবিবার রাতে কালকিনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব মিনাজদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে, হামলার ঘটনা পুরোটাই সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম হানিফ।

হামলায় আহত ৯ জনই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তারা হলেন, কালকিনি পৌরসভার উত্তর ঠেঙ্গামারা গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে মো. দুলাল ফকির (৩৫), একই গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে লালন সরদার (২২), দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শান্তি রহমান (৩৮), একই গ্রামের আব্দুর রশিদ ব্যাপারীর ছেলে স্বপন ব্যাপারী (৩৫), হাছেন হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদার (৫৫), লতিফ ব্যাপারীর ছেলে আলম ব্যাপারী (৬০), পাঙ্গাসিয়া গ্রামের রকিব ফকিরের ছেলে শাওন ফকির (১৮), জোনারদন্দী গ্রামের মৃত আলী হাওলাদারের ছেলে খালেক হাওলাদার (৭০) ও উত্তর রাজদী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে কাইউম (১৯)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় কালকিনি পৌরসভার পূর্ব মিনাজদী গ্রামের ইউসুফ সরদারের বাড়িতে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে উঠান বৈঠকের আয়োজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা। উঠান বৈঠকে তার কর্মী ও সমর্থকরা যোগ দেন। হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একদল দুবৃর্ত্তরা। এতে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা ৯ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম হানিফ মুঠোফোনে বলেন, ‘মিনাজদী এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী তার দুই থেকে তিনশ সমর্থক নিয়ে শোডাউন দেয়। আমি যতটুকু জানি তাদের উপর কেউ হামলা চালায়নি। বরং তারাই উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়েছে। তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ঘটনা সাজানো নাটক তৈরি করছে। ওরা আমাদের নাম ব্যবহার করে নির্বাচনী ফায়দা লোটার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আহম্মেদ বলেন, মিনাজদী এলাকায় প্রচারণা ও উঠান বৈঠক করতে গেলে প্রতিপক্ষ এক গ্রুপের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে কয়েকজন আহত হলেও গুরুতর আহত নেই কেউ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ব্যাপারে প্রার্থী এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি। তারা অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর