বছরের পর বছর ধরে যত না আকাশকুসুম রচনা
ছিল একদিন স্খলিত চরণ আর বিশুষ্ক রসনা,
তবুয়ো শ্বাপদসংকুল অরণ্য ছেনে তুলে আনা বিশল্যকরণীনিয়ে ছুটে চলেছিলো তীরবেগে টালমাটাল তরুণী
দিকে দিকে শুনেছি কত না আলোক বর্ষের হাঁকডাক
টলেনি তবুয়ো পা জোড় বরং দেখেছি নতুন নতুন বাঁক,
- দ্বর্থ হাস্য পরিহাসের টুকরোটাকরাতে মিশেছে কত না
নিগূঢ় ব্যঞ্জনা
অলস বিন্যাসে ছেঁটে ফেলে দিয়েছি যত সব ধাবত ঝঞ্ছনা,
দিগ্বিদিকহারা রাগে, ক্ষোভে, কাতর, শোকে পাথর বেজে
উঠেছে হৃদয়তন্ত্রী
হাল ধরে যে মাঝি রয়েছে দাঁড়িয়ে, মনে হতো তাকে
যেনবা সদয়তন্ত্রী
চরাচর জুড়ে এত পাখি কিন্তু সবারই ডানা ছাঁটা-
এই কি সেই বালক
যার পদপ্রান্তে রয়েছে ছড়িয়ে তার বাল্যকাল
আর রাশি রাশি পাখির
পালক!