১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৪৪

তিন্নি হত্যা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না তার পরিবার!

অনলাইন ডেস্ক

তিন্নি হত্যা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না তার পরিবার!

সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি (২৪) হত্যা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না তার পরিবার। গণমাধ্যমে রায়ের খবর দেখে সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে হাজির হন নিহত তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম।

তারা অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে তারা বলেন, তাদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। তারা অসমাপ্ত সাক্ষ্য পুনরায় দিতে চান। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে আগামী ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত এ তথ্য জানান। 

মামলার আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টি সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।  

এদিকে, তিন্নির বাবা ও চাচা বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন হওয়ায় আমরা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতাম না। আগের পিপি আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। পিপি পরিবর্তন হওয়ার বিষয়ও জানাননি। আমরা আদালতের কোনো নোটিশও পাইনি। আজ পত্রিকায় রায়ের খবর দেখে আদালতে এসেছি। আমরা সাক্ষ্য দিতে চাই বলে আদালতকে জানিয়েছি। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় দিয়েছেন।  

জানা যায়, কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম আলী সরদার।  

এরপর নিহত তিন্নির মরদেহ ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় মরদেহটি মডেল কন্যা তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর