২৮ আগস্ট, ২০২২ ১১:৩৭

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিলেন এসএম কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিলেন এসএম কামাল

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিলেন এসএম কামাল

শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজশাহী জেলার পুঁঠিয়া উপজেলার শাহ্ মখদুম আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ রবিবার সকাল ৯টায় সেখানে যান তিনি। 

এস এম কামাল আশ্রয়ণ প্রকল্পের সকলের সাথে কথা বলেন। তিনি জানতে চান যে, তাদের কোনো অসুবিধা আছে কি না। তিনি বলেন, ‌‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাঠিয়েছেন আপনাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য।’ 

এসময় উপস্থিত সকলে ঘর পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ৯০ বছর বয়সী জোয়াদ মিস্ত্রী জানান, জীবনে নিজের একটা ঘর পাব এটা কখনো ভাবিনি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিয়েছেন আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করি।’

৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা সাহেরা বেগম বলেন, ‘বহু বছর আগে শেখ সাহেব আমাকে ঘর দিয়েছিলেন, আজকে তার বেটিও অসহায় মানুষকে ঘর দিচ্ছেন, আমি শেখ সাহেব ও তার বেটি হাসিনার জন্য দোয়া করি।’

এসময় এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানুষের অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও লেখাপড়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন এবং ছিন্নমূল মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এদেশীয় এজেন্ট মোস্তাক-জিয়াচক্রের পৃষ্ঠপোষকতায় কতিপয় বিপথগামী আর্মি অফিসার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২৪ ঘণ্টার ১৯ ঘণ্টা পরিশ্রম করেন।’ 

‘বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই আজকে ছিন্নমূল মানুষেরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে, উন্নত জীবনযাপন করছে। যারা রাজধানীতে এসি রুমে বসে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন, ষড়যন্ত্র করেন, মিথ্যাচার করেন তাদের উদ্দেশ্য বলব, একবার গ্রামে এসে আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখেন যে, শেখ হাসিনা কীভাবে গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করেছেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছেন। তাই তাদের বলব, আপনারা মিথ্যাচার বন্ধ করেন, তানাহলে জনগণ আপনাদের মিথ্যাচারের জবাব দেবে।’

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা, স্থানীয় সাংসদ ডা. মনছুর, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিকা ফারিয়া জামান অর্না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর