বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি গতিশীল গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা সমুন্নত থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানুষকে দাসে পরিণত করা যায় না। একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাজেই কেবলমাত্র মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়। সভ্যতা বর্তমান স্তর থেকে আরও অগ্রগতির দিকে ধাবিত হয়।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভূলুণ্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের ঘন অন্ধকার বিরাজমান। বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের পথকে সংকুচিত করে দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।মির্জা ফখরুল বাণীতে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের গণতন্ত্রমনা মানুষক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গৃহবন্দী রাখা হয়েছে, এখনও তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন। দেশনায়ক তারেক রহমানের ওপর চালানো হয়েছে বহুবিধ নির্যাতনের নির্মম মাত্রা।
তিনি বলেন, এদেশে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়ে ঘোর দুর্দিন নামিয়ে আনা হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আজ গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। অবৈধ শাসন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দীর্ঘায়িত করতে যেয়ে সরকার দেশ, রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে চরম দুর্দশায় ফেলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। জনগণের মতামতই হয় সরকার পরিচালনার ভিত্তি। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আসুন, আমরা গুম-খুন-ক্রসফায়ার আর মিথ্যা মামলার হিড়িকের এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে গণতন্ত্রের মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন