১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:৪৫

দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না: গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক

দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না: গভর্নর

রবিবার চল‌তি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি বর্তমানের চেয়ে আর খারাপ হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেছেন, “আমাদের অর্থনীতির যে সহনশীলতা, সেটি অত্যন্ত গভীর। যেকোনও একটি ধাক্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতি পড়ে যাবে না। করোনায় আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে, এর চেয়ে আর খারাপ হবে না।”

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা উপলক্ষে রবিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিনটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করা হয়েছে নতুন মুদ্রানীতিতে। এগুলো হল- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপ্তি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদহার বাড়ানোর আগ্রাসী কার্যক্রম এবং চীনের করোনা পরিস্থিতি। গভর্নর এ বিষয়ে বলেন, “আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যত দ্রুত এ তিন চ্যালেঞ্জের সমাধান হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতিও তত দ্রুত বাউন্স করবে। বিদ্যমান এ তিন চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, তাহলেও দেশের অর্থনীতি বর্তমান যে অবস্থায় আছে, তার চেয়ে খারাপ হবে না। স্বল্পমেয়াদে আমাদের দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে। আমরা আশা করি, ভালো দিন শিগগিরই আসবে।”

মুদ্রানীতি ঘোষণার পর গভর্নরের কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনি যোগ দিয়ে বলেছিলেন- ডলারের সংকট জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু এখনও সংকট কাটেনি। এ সংকট কবে কাটবে?

জবাবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, “আমি যোগ দেওয়ার পর আমদানি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশি দামে ঋণপত্র যেন খোলা না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে আমদানি কমেছে। এখন প্রতি মাসে আমদানিতে যে খরচ হচ্ছে, রফতানি ও প্রবাসী আয় তার চেয়ে বেশি। তবে আগের আমদানি দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। এজন্য ডলারের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ বৃদ্ধি ও চীনের করোনার ওপর নির্ভর করছে ডলার-সংকট সুরাহার বিষয়টি।”

ডলার-সংকটে মুনাফা করা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কেন তা তুলে নেওয়া হল- এ বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, “ডলার সংকটের সুযোগ নিয়ে ১২টি ব্যাংক ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এসব ব্যাংকের সেই মুনাফার অর্ধেক সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর