৮ মে, ২০২৩ ১৪:১২

রানা প্লাজার মালিকের জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতই থাকছে

অনলাইন ডেস্ক

রানা প্লাজার মালিকের জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতই থাকছে

সোহেল রানা। ফাইল ছবি

প্রায় এক দশক আগে সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের মামলায় ভবনমালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকছে। ওই দিন হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। 

সোমবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সোহেল রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত সোহেল রানার জামিন স্থগিত থাকবে। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি হবে।’

এর আগে গত ৬ এপ্রিল মামলাটিতে সোহেল রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ এপ্রিল বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে তার জামিনের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

পরে রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত রানাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিতের আদেশ দেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ১০ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে নিহত হয় ১ হাজার ১৩৬ জন মানুষ। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর ২৯ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে সোহেল রানাকে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।

ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রথমে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে এজাহারে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মৃত্যু ঘটানোসহ দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ২০১৫ সালের ১ জুন অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। পাঁচ শতাধিক সাক্ষী এ মামলায়। তার মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলায় নিম্ন আদালতে সোহেল রানার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২০২১ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত; যা এখন স্থগিত আছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর