১১ মে, ২০২৩ ১৭:২২

হঠাৎ অস্থির পিয়াজের বাজার

অনলাইন প্রতিবেদক

হঠাৎ অস্থির পিয়াজের বাজার

পিয়াজের দাম বাড়ার খবর শুনে আজ সকালে রামপুরা বাজারে গিয়েছিলেন জসিম খান। গিয়ে দেখেন দুএকদিন আগে যে পিয়াজ ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা আজ চলছে ৬০-৭০ টাকা। হঠাৎ পিয়াজের এ দাম বৃদ্ধিতে বেসরকারি চাকরিজীবী জসিম খানের মাথায় হাত। বলে কি! এক রাতের মধ্যে কেজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বাড়ে কীভাবে? এর যৌক্তিকতা খুঁজে পান না জসিম। শেষে আধা কেজি পিয়াজ কিনে মন খারাপ করে বাসায় ফেরেন তিনি। আশায় আছেন, খুব শিগগির দাম কমলে পিয়াজ কিনবেন।

ঢাকাসহ সারাদেশে পিয়াজের বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত দুতিন দিনের ব্যবধানে এ পণ্যটির মূল্য মানভেদে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা কেজিতে। বর্তমানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। সাধারণ ক্রেতারা এ দাম বৃদ্ধির জন্য বরাবরের মতো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। দাম বৃদ্ধিতে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিয়াজ মানভেদে ব্যবসায়ীরা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ ৩ দিন আগেও এ পণ্যটি বাজারে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 
রামপুরা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, প্রতি কেজি পিয়াজ তিনি ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে কৃষকের পিয়াজ পচে গেছে। হাটগুলোতে পিয়াজের আমদানি খুবই কম। যা আসছে তা ভাগ-ভাটোয়ারা করে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যখন থেকে সরকার ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে, তখন থেকে ধাপে ধাপে এ পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে।
অন্য এক বিক্রেতা বলেন, পিয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। করতে গেলে তা পচে যাচ্ছে। আর এ কারণে বাজারে এ পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ধাপে ধাপে দাম বাড়ছে পণ্যটির। 

শফিক আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, এখন খুচরা বাজারে পিয়াজের কেজি ৬০-৭০ টাকা। রোজার ঈদের আগেও ৩০-৩৫ টাকায় কিনেছি। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ এলে পিয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিচ্ছেন।
এদিকে, পিয়াজ নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পিয়াজের দাম না কমলে আমদানি করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর