১২ মে, ২০২৩ ১৭:৫৮

জিএম কাদেরের আচরণবিধি লঙ্ঘন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিএম কাদেরের আচরণবিধি লঙ্ঘন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ

জিএম কাদের। ফাইল ছবি

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বরিশাল পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন সচিবালয়।

তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য কমিশন তাদের চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘জানানো যাচ্ছে যে, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ২৬ মে।’ 

‘বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে সাথে নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের আগেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি ১১ মে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শোভাযাত্রা, শোডাউন, মিছিল, সভা, নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন মর্মে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৫, ৭, ১১, ১৩ ও ২২ বিধিতে নিম্নরূপ বিধান রয়েছে :’

বিধি ৫: প্রচারণার সময় :- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।

বিধি ৭: সভা সমিতি অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ:- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান (ক) পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না।

বিধি ১১: মিছিল বা শোডাউন সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ:- (১) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শো-ডাউন করা যাইবে না বা প্রার্থী ৫ (পাঁচ) জনের অধিক সমর্থক লইয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না। (২) নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শো-ডাউন করা যাবে না।

বিধি ১৩: যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ:- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান- (ক) কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোনো প্রকারের মিছিল বের করতে পারবে না কিংবা কোনোরূপ শোডাউন করতে পারবে না।
 
বিধি ২২: সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনি প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ:- (১) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। (২) নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

এতে আরও বলা হয়, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্ত আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ১৩ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।’ 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর