১৮ আগস্ট, ২০২৩ ২০:১৪

ঘাতকরা বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘাতকরা বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল : স্পিকার

বক্তব্য দিচ্ছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল।’

আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি এম তাজুল ইসলাম এমপি উপস্থিত ছিলেন। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি স্বাধীনতার সূতিকাগার। বাড়িটি সবসময় জনগণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ৩২ নম্বরের বাড়ির অনেক ইট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব নিজের হাতে গেঁথেছেন। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও একই রকম ছিলেন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিষ্ঠুর ঘাতকরা নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও নিস্তার দেয়নি। এমনকি বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ভয়ানক বৈরী আচরণ সহ্য করেছেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার পাশে থাকায় তার ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী ফিরে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশের ইতিহাস ঘুরে দাঁড়িয়েছে। 

এসময় তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত গ্রন্থগুলো পড়ে তার আদর্শকে ধারণ ও চর্চার মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদ ভবনস্থ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মুফতি মোহাম্মদ আবু রায়হান।

অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, শওকত হাসানুর রহমান (রিমন) এমপি, নাহিদ ইজাহার খান এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে, এম, আব্দুস সালাম, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর