১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:১০

তলে তলে কিছুই হয়নি : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

তলে তলে কিছুই হয়নি : মির্জা ফখরুল

গণঅনশন কর্মসূচিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইনসেটে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

‌‘তলে তলে সব হয়ে গেছে’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তলে তলে কিছুই হয়নি। গোটা বিশ্ব তাদের সরে যেতে বলছে। তাদের অত্যাচার অবিচারে দেশবাসী আজ অতীষ্ট। তারা কাউকে পাত্তা দেয় না। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়’।

আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে নেত্রী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন তিনি আজ বন্দী। আজকে এ অনশনে সকল রাজনৈতিক দল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন এবং শপথ করেছেন এ সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না’।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এরা সরকার নয়। এরা শাসক। এরা ভয়ানক দল। এরা ঘোষণা দেয় বিএনপি আমাদের শত্রু। একটি রাজনৈতিক দল এ কথা বলতে পারে না। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। এরা কমান্ডো কায়দায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে’।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আজকে দেশকে বাঁচাতে হলে, অর্থনীতিতে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই’।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাই পূজায় আমরা কোনো কর্মসূচি রাখিনি’।

এতে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন আব্দুস সালাম।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ২টায় এ কর্মসূচি শেষ হয়।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। 
অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ এবং আনোয়ার হোসেন।

অনশন উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মিছিল সহকারে হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা প্লেকার্ড ও নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সমবেত হতে থাকেন। 

সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, সোহেল রহমান, অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান, এবিএমএ রাজ্জাক, আকবর হোসেন নান্টু ভূঁইয়া, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, জামশেদুল আলম শ্যামল, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ ভূঁইয়া,শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীম আল বারী জুয়েল, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন খান, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, মিরপুর থানা বিএনপি নেতা মো. হালিম উল্লাহ মজুমদার, কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও সাব্বির দেওয়ান জনি, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া, পল্লবী থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন হাওলাদার, দারুসসালাম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এইচ এম ইমরান, বিমানবন্দর থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম হোসেন, মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুম খান রাজেশসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। 

অনশনকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর