২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:৪২
‘আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার’

খেয়াল রাখবেন দেশের অগ্রগতি যেন থেমে না যায় : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

খেয়াল রাখবেন দেশের অগ্রগতি যেন থেমে না যায় : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশকে সব দিক থেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। আগামীতে সেই অগ্রগতি যেন থেমে না যায় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’ 

আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলব্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি সেভাবে চাইনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। অনেক দেশই আমাদের সঙ্গে হয়েছিল, অনেকেই পিছিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু পিছিয়ে যাইনি।’

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। অনেক ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা শুরু করি। ১৫ আগস্টের পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ভাষণ বাঁজিয়েছিল এবং তা মানুষকে শুনিয়েছিল। আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতবার শোনা হয়েছে কি না। আজকে সেই ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।’
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতার প্রতি যে বহিষ্কারাদেশ ছিল, প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। আজকে জাতির পিতাকে ডক্টর অব লজ ভূষিত করেছেন, আমি জানি না আপনাদেরকে কীভাবে ধন্যবাদ জানাবো। আমি কন্যা হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর