১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৮:৫২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন

মা ও শিশুসহ চারজন জীবন্ত দগ্ধ, তিন বগি ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মা ও শিশুসহ চারজন জীবন্ত দগ্ধ, তিন বগি ক্ষতিগ্রস্ত

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকাগামী ট্রেনের তিনটি বগি। 

মঙ্গলবার ভোরে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া ৪টি মৃতদেহ সকাল ৭টার দিকে ফায়ারসার্ভিস উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নিহতারা হলেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৩)। এছাড়া বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর। 

নিহত ইয়াসিনের মামা হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে। ৩ ডিসেম্বর তারা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গতরাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের রওনা দিয়েছিলেন ঢাকায় ফিরতে। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সাথে ছিলেন হাবিবুর, ইয়াসিন, ইয়াসিনের বড় ভাই ফাহিম (৮) ও তাদের মা নাদিরা।

হাবিবুর জানান, তেজগাঁ স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে তখন কিছু যাত্রী সেখান থেকে নেমে যায়। এসময় তাদের পেছনের ছিটে থাকা দুই ব্যক্তিও নেমে যায়। এরপর পিছনের ছিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে হাবিবুর ও ফাহিমসহ অন্য যাত্রীরা নামতে পারলেও ভিতরে আটকা পড়েন ছোট ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদেরকে আর কোনভাবেই বের করতে পারেননি। পরবর্তিতে ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ বের করেন। নিহত নাদিরার স্বামী নাম মিজানুর রহমান মিজান। কারওয়ানবাজারে হার্ডওয়ার দোকান কাজ করেন। তেজগাঁও তেজতুরি বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, মরদেহ চারটি সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, ভোর ৫ টা ৪ মিনিটে আগুনের সংবাদে সেখানে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়। পোনে সাতটার দিকে আগুন নির্বাপণ করা হয়। 

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বগিগুলোতে সার্চ করে একটি বগি থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।

সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ শেষ করেছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর