১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৫১

পশ্চিমবঙ্গের মায়া বন্দর টু বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ কার্গো ভেসেল সার্ভিস

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের মায়া বন্দর টু বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ কার্গো ভেসেল সার্ভিস

বিগত বছরগুলোতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে। এবার উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পণ্যবাহী নৌযান চালু হল। যদিও এটি মূলত ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ নৌপ্রোটোকল (IBP) রুট-৫ ও ৬ নম্বরের অধীনে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল শুরু হয় আজ সোমবার। 

এদিন সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার মায়া অভ্যন্তরীণ শুল্ক বন্দর থেকে এই ট্রায়াল রানের শুভ সূচনা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সচিব (বাণিজ্য) মহম্মদ শামসুল আরিফ, ভারতীয় অন্তর দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ (আইডব্লুএআই) এর চেয়ারম্যান বিজয় কুমার, আইডব্লুএআই'এর হাইড্রোগ্রাফি চিফ ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র কুমার প্রমুখ। 

ট্রায়াল রানের প্রথম দিনই মায়া বন্দর থেকে পণ্যবাহী নৌযান করে পাথর রওনা দেয় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। প্রতি বছরে বার্ষিক ২.৬ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করা যাবে বলে আশাবাদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এই করিডোর নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে।  

শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'এই বন্দর চালু হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। ইমারতি দ্রব্য থেকে খাদ্যশস্য প্রভৃতি সামগ্রী বৈধভাবে ওপার বাংলায় পৌঁছে যাবে। দুই দেশের কর্মসংস্থান হবে। ফলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।' 

ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে নদীপথের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ৪.৫ কিলোমিটার নৌপথ ভারতে এবং বাকি ১১.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশে মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরে আসেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরেই উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল বাড়ানোর উপর জোর দেন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জল পরিবহন ও বাণিজ্য (পিআইডব্লিউটিটি) প্রটোকলের অধীনে ওই রুটের ৫ ও ৬ নম্বর (ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে আরিচা) এবং ৯ ও ১০ নম্বর (দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া) রুটে জলপথ পরিষেবা চালু করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়নের বিষয়েও সম্মত হয়। তারই অংশ হিসেবে এদিনের এই নৌযান পরিসেবা চালু হল। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর