বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের আদালতে সাজা ঘোষণা হয়েছে। সেই রায়ের প্রতিলিপি কলকাতার আদালতে না আসা পর্যন্ত ভারতে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা 'এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট' (ইডি)-এর আইনজীবী অরজিৎ চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার কলকাতায় এই মামলার আইনি বিষয় নিয়ে অরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, 'স্থানীয় আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ এখনো শুরু হয়নি। আগে ট্রায়াল শুরু হোক। বাংলাদেশে যে সাজা হয়েছে সেই সাজার প্রতিলিপি কোর্টের কাছে এসে পৌঁছায়নি। আমরা যেটুকু খবর পেয়েছি তাতে সাজা ঘোষণা হয়েছে কিন্তু রায়দান এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। সেই রায়দানের প্রতিলিপি না আসা পর্যন্ত, এক্ষেত্রে এখানে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।'
এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) পি.কে হালদারের বিরুদ্ধে থাকা অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২' (PMLA) মামলার শুনানি থাকলেও, ফের একবার তা পিছিয়ে যায়। এই মামলার শুনানি ছিল আদালতের বিশেষ সিবিআই কোর্ট-১ বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। কিন্তু অভিযুক্তদের আইনজীবী তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানায় এবং আদালত তা মঞ্জুরও করে। সেক্ষেত্রে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেন আদালত।তা নিয়েই ইডি'র আইনজীবী বলেন 'অভিযুক্তপক্ষ থেকে দুইটি পিটিশন করা হয়েছিল। আজ ওই দুইটি পিটিশনের শুনানি ছিল। কিন্তু ওই শুনানির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানানো হয়। তাতে মহামান্য আদালত অনুমতি দিয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তার শুনানি হবে।'
পিকে হালদারসহ বাকি অভিযুক্তকে বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে যাওয়া বিষয়ে ইডি'র আইনজীবী বলেন 'বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটাকে খুব দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া বলা উচিত নয় এবং বলার সময়ও এটা নয়।'
পিকে হালদার মামলায় নিষ্পত্তির কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অরজিৎ চক্রবর্তী জানান, 'আপাতত নয়।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল