২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০৯:৩৯

সেলাই মেশিনই হবে ভাগ্যবদলের হাতিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

সেলাই মেশিনই হবে ভাগ্যবদলের হাতিয়ার

উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বর্ষা আক্তারকে। স্বামীর বাড়ি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর সদরের কলেজ রোড এলাকায়। স্বামী সোলায়মান আলী প্রতিবন্ধী। সদরের একটি কেজি স্কুলে শিক্ষকতা করেন সোলায়মান। বেতন সামান্য হওয়ায় সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকে। এ জন্যই বাড়তি রোজগারের চেষ্টা করেন বর্ষা। অনেক জায়গায় ধরনা দিয়ে ব্যর্থ হন। শেষে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। পাঁচ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্ষা দরজির কাজ রপ্ত করেন।

প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা জানলেও বিশ্বাস হয়নি তাঁর। সম্প্রতি ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সেলাই মেশিন গ্রহণের জন্য ডাক পেয়ে কিছুটা হকচকিয়ে যান বর্ষা। কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অবশেষে মেশিন পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হন বর্ষা। সেলাই মেশিন পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বর্ষা বলেন, ‘আমাদের মতো অসচ্ছল ও অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করার ব্রত নিয়ে যাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। এই মেশিনের মাধ্যমে আমি স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি, সংসারের অভাব দূর করতে পারব।’

ইটাখোলা হাটের হরিজন সম্প্রদায়ের এতিম মেয়ে আঁখি বাঁশফোঁড়। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। অনেক কষ্টে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। অভাবের কারণে পড়ালেখা আর চালানো সম্ভব হয়নি। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর তাগিদে অংশ নেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণে। প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেলাই মেশিন।

আঁখি বলেন, ‘এখন সামনে এগোনোর পালা। সেলাইয়ের কাজ করে মাকে সহযোগিতা করতে পারব। এই সেলাই মেশিনই হবে আমার ভাগ্যবদলের হাতিয়ার। আমি প্রাণ থেকে প্রার্থনা করি, আমাকে যাঁরা এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, ভগবান যেন তাঁদের মঙ্গল করেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর