নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন মানে হেলাফেলা বা ছেলেখেলা নয়, রাষ্ট্রপরিচালনার বিষয়, স্থানীয় সরকার পরিচালনার বিষয়। সেখানে অনেক সময় নিয়ম করা হয়েছিল যেন যেকেউ চাইলেই প্রার্থী হতে না পারে। এজন্য প্রার্থীর সমর্থনে স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘প্রাথীকে যারা সমর্থন দেন তারা অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হন। আমাদের কাছে এই ধরনের অভিযোগ আছে। তাই আমরা সেটা তুলে দিয়েছি। সমর্থন দেখানোর জন্য প্রার্থীরা ছলচাতুরি বা মিথ্যার আশ্রয় নিতেন। প্রার্থী নিজেই ডান হাত, বাম হাত মিলিয়ে স্বাক্ষর করতো, তাই এই ধরনের আইন কেন থাকবে যা ন্যায়ের পক্ষে না। তাই তুলে দিয়েছি। এটা অন্যায় করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে। আমরা এটা তুলে দিয়েছি আমাদের ক্ষমতা ছিল।’তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন থেকে সমর্থনসূচক স্বাক্ষর তুলে দিতে হলে আরপিও সংশোধন করতে হবে। এজন্য পার্লামেন্টে যেতে হবে। এ বিষয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। কোনো দল থেকে প্রার্থী না দিলে স্বতন্ত্র থেকে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে কারোই সমর্থনসূচক স্বাক্ষর লাগবে না। জেনে বুঝে শুনে গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য সহায়ক সেটা করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নয়।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ