১৯-২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে সোমালিয়ায় ৩১ দিন জলদস্যুর কবলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নাবিকদের দুইটি অপশন থাকছে। প্রথমত তারা ফ্লাইটে, দ্বিতীয়ত ওই জাহাজেই দেশে ফিরতে পারবেন। রবিবার দুপুরে বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআরএম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত।
তিনি বলেন, সোমালিয়ার সময় রাত ১২টায় এবং বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টায় মুক্তির পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা ৬৫ জন দস্যু জাহাজ থেকে বোটে করে নেমে গেছে। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দু’টি ইউরোপীয় যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করে।
ডিএমডি বলেন, জাহান মণি জাহাজ জলদস্যুর কবলে পড়ার ১৪ বছর পর দুর্ভাগ্যবশত একই ঘটনা ঘটল। গত ১২ মার্চ এ জাহাজ আক্রমণের শিকার হয়েছিল অস্ত্রের মুখে। ৩১ দিন পর ফাইনালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি।তিনি আরও বলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধজাহাজ ফোর্সফুলি জাহাজটি উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার কুইক রেসপন্স করেছে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন। ১৯-২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে জাহাজটি আশাকরি। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক