বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্ত শিল্পকে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণার আলোকে আমরা একটি গ্রাম একটি পণ্য এই স্লোগানে সারা বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে যে সকল কারিগর রয়েছে, তাদের মেলার মাধ্যমে একত্র করে তাদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পকে আগামী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল করে দিয়ে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দেব। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো হস্ত ও কুটির শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বৈশাখী মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে মানুষ পেটের দায়ে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের কাজ করতো। কিন্তু এটা যে একটা শিল্প এবং এর থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব, সে বিষয়টা মাথায় নিয়েই আমরা এই হস্ত ও কুটির শিল্পীদের ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা বিশ্বাস করি, তারা যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে তাদের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর বর্তমান সরকার তাদের পাশে থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করতে সহযোগিতা করবে।তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের কিছু হস্ত ও কুটির শিল্প রয়েছে যেমন বাঁশ ও বেত শিল্প, মৃৎশিল্প, নকশীকাঁথা, গ্রামের মা-বোনদের হাতে তৈরি কাসুন্দি, আচার, মুড়ি, মরকিসহ বিভিন্ন শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই শিল্পগুলো যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায়, সেজন্যই আজকের এই মেলার আয়োজন।
টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁত শাড়ি নিয়ে আমাদের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁত শাড়ির মূল প্রধান কেন্দ্র হলো পাথরাইল। পাথরাইলকে আমরা পৌরসভা করতেছি। এটাকে এগিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে কারিগরি ও শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখা এবং এটাকে বাজারজাত করার জন্য আমরা পাথরাইলে সেল সেন্টার করবো, হাট করার চিন্তা আছে। সবার সাথে বসে যেভাবে তাঁত শাড়িকে প্রচার ও প্রসার করার যায়, সেটার আমরা ব্যবস্থা করবো।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সামিলাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম অপু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই