২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৪৯

শিব নারায়ণ দাসের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে

অনলাইন ডেস্ক

শিব নারায়ণ দাসের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে

শিব নারায়ণ দাশ

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের দান করা কর্নিয়ায় চেখে আলো ফিরে পাবেন দুই অন্ধ লোক। আজ সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, শনিবার সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাশ মননে চিন্তায় যে অবদান রেখেছিল মৃত্যুর পরেও দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রং রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
 
বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তার ছেলে অর্ণব আদিত্য বাবার কথা অনুযায়ী কর্নিয়া দুটি দান করেন সন্ধানীতে। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের টিম দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে।
 
১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এজন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর