২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:৫১

রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি ও বিক্রিত জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

আজ দুদকের এ সিদ্ধান্তের নথি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ামিন নেওয়াজ খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

‘লাগামহীন দুর্নীতি ও বিক্রিত জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ’ শীর্ষক দুদকের নথিতে বলা হয়, অভিযোগটি ব্যাংক শাখার নথি (মানিলন্ডারিং ই/আর নং ৬০/২০২৩) এর সাথে একীভূত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  

এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৮ এপ্রিল দুদকের পরিচালক (মানিলন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী অভিযোগের নথি উপ পরিচালক মো. নুর-ই-আলমের কাছে পাঠিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী শাহীন আহমেদ খান জানান, এখন অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। তারপর অনুসন্ধান শুরু হবে।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর শামস গত ২৬ নভেম্বর ‘রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি, বিক্রিত জমির দলিল বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ ও জাল জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ’ করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন দেন। এ আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকেও দিয়েছেন তিনি।

এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ‍যুক্ত করা হয়।

পরে ১৯ মার্চ হাইকোর্টে দুদক জানায়, আবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। এরপর আদালত শুনানি মুলতবি করেন। তার ধারাবাহিকতায় আবেদনটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য উঠে।

ওইদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, রংধনু গ্রুপের কর্ণধার রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে মানুষের সাথে যে প্রতারণা করেছেন, অনিয়ম করেছেন, জাল জালিয়াতি করেছেন- এই মর্মে একটি মানবাধিকার সংগঠনের চিফ অ্যাডভাইজর ড. সুফি সাগর শামস দুদকে একটি আবেদন দেন বিষয়গুলো তদন্তের জন্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর