ঈদুল আজহার আগের তিনদিন ও পরের তিনদিনসহ মোট সাতদিন পশুবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।
ঈদ উপলক্ষে নৌরুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন মোট ১১ দিন সব নৌরুটে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
আগের মতোই কাজীর হাট, পাটুরিয়া ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিছু রুটে বাড়ানো হবে লঞ্চের সংখ্যাও।বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কর্মপন্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, গতবার (ঈদুল ফিতর) ঈদযাত্রা নিরাপদ হয়েছে। সব পথে নিরাপদে যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় ঈদ করেছেন। এবারো যাতে ঈদ আনন্দময় ও নিরাপদ হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীসহ নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করছে।
তিনি বলেন, যাত্রীসেবার ক্ষেত্রে সরকার আন্তরিক। দেশবিরোধী, আইনবিরোধী কিছু মানুষ নৌপথের ক্ষেত্রেও আছে। তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে সরকারের বা আমাদের সংস্থাগুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়েছে যে, এবারের ঈদ মৌসুমে আবহাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। যারা যাত্রী পারাপার ও পণ্য পারাপার করবেন, তারা আবহাওয়া বার্তাগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন