প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকেরই আইনের আশ্রয় লাভ ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আছে। মানুষের সেই অধিকার নিশ্চিত করতে জেলা জজগণ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিচারাধীন মামলাগুলোও দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।

শনিবার (০১ জুন) সকালে ময়মনসিংহ জেলা জজ আাদলতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

পরে নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতেন। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমরা সবাই ধারণ করি। আসুন বাংলাদেশকে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করি। 

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্বলতা আছে, বিচার বিভাগেরও দুর্বলতা আছে। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে গিয়ে অন্তত বারোজন বিচারক বিব্রতবোধ করেছি। এই বিচার বিভাগ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আলবদর, আলসামসদের বিচার করেছে, বিচার এখনো চলমান রয়েছে। স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। 

আইনজীবীদের উদ্দ্যেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি দায়িত্বভার গ্রহণের আমি বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন, বিচার সেবাপ্রাপ্তি সহজীকরণ তথা বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যারা আইনের গবেষণা করতে চান, তাদের জন্য সুপ্রীমকোর্ট থেকে একটি রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খুলেছি। সেখানে আইনজীবী ও বিচারকগণ গবেষনার সুযোগ পাবেন।  

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্টার মশিউর রহমান, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, সিনিয়র আইনজীবি জহিরুল হক খোকা, এএইচএম খালেকুজ্জামান, মোসলেম উদ্দিন, কবির উদ্দিন ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জালাল উদ্দিন খান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসহ বিচারক ও সিনিয়র আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন। 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ