৩ জুন, ২০২৪ ২০:২৭

এমপি আনারের লাশের অংশের সন্ধানে বাগজোলা খালে নামলো ভারতীয় নৌবাহিনী

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

এমপি আনারের লাশের অংশের সন্ধানে বাগজোলা খালে নামলো ভারতীয় নৌবাহিনী

কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার লাশের অংশের (মাথার খুলি ও হাড়) খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খালে তল্লাশি অভিযান চালালেন ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। সাথে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিমের (ডিএমজি) সদস্যরা। এই খুনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চলে এ অভিযান পর্ব।

সোমবার দুই দফায় জিরানগাছা ও সাতুলিয়া এলাকায় বাগজোলা খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বিশাখাপত্তনাম থেকে আসা নৌবাহিনীর তিনজন ডুবুরির পাশাপাশি ছিলেন ডিএমজি সদস্যরা। নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানির ভিতর চলে অভিযান। যদিও নিহত এমপি আনারের লাশের অংশ বা কোনো হাড়গোড় উদ্ধার করা যায়নি।

খুনের ঘটনায় কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই খুনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি জানতে পারে, এমপি আনারকে হত্যার পর তার মাংস ও শরীরের হাড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল ও নিউটাউনের হাতিশালা খালে ফেলা হয়। জিহাদের সেই দাবি মেনেই ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকবার ওই খালে সন্ধান চালিয়েছে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা দলকে নামিয়ে, জাল ফেলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েও মাংস বা হাড়ের টুকরো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

স্বাভাবিকভাবে তদন্তে সফলতা পেতে উন্নততর প্রযুক্তির সহায়তা চেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরজি জানায় সিআইডি। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধারণা নৌবাহিনীর ডুবুরি নামিয়ে ওই খালের নোংরা ও কাদযুক্ত পানিতে তল্লাশি অভিযান চালালে এমপি আনারের লাশের টুকরোর মিলতে পারে।

তবে খালে এমপি আনানের দেহাবশেষ খুঁজে না পাওয়া গেলেও নিউটাউনের যে সঞ্জীবা গার্ডেনে গত ১৩ মে খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সেই আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু অংশ। যদিও সেই মাংস এমপি আনারের কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

উদ্ধার এই মাংস পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। প্রয়োজনে করা হবে ডিএনএ টেস্টও। আর এই সময়ের মধ্যেই হার ও মাথার খুলি উদ্ধার করা গেলে এই খুনের তদন্তে গতি পাবে বলেও ধারণা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের।

ইতোমধ্যেই এই খুনের তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতা ঘুরে গেছে।

নিউটাউন থানায় গিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) সাথে নিয়ে তারা কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল পরিদর্শন করেন। এরপর যথাক্রমে নিউটাউনের সঞ্জীবা আবাসন, সিআইডি ভবন, হাতিশাল খাল-সহ ঘটনার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, সিআইডি এডিজি আর রাজাশেখরণের সাথেও কথা বলেন ডিবি প্রধান।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর