৪ জুন, ২০২৪ ২১:৫৪

দক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাইকার টেকনিক্যাল কো-অপারেশন প্রজেক্ট চালু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাইকার টেকনিক্যাল কো-অপারেশন প্রজেক্ট চালু

দেশে আরও দক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ৩ বছর মেয়াদী ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিস ফর এনহান্সমেন্ট অব অ্যাকসেস টু জাস্টিস প্রজেক্ট’ চালু করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে এক অনুষ্ঠানে প্রকল্পটির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।

এই প্রকল্পের জন্য এর আগে গত ১৬ নভেম্বর আইন ও বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাইকা’র প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি (রেকর্ড অব ডিসকাশনস) স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচারের প্রাপ্যতা বাড়ানোর অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে সকলের দৃঢ় প্রত্যয়ের বিষয়টি এই চুক্তিতে উঠে আসে। 

এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “আজকের এই আয়োজন আমাদের প্রচেষ্টায় নতুন একটি অধ্যায় চালু করল। জাইকা’র অব্যাহত সহযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ করে মধ্যস্থতা ও দেওয়ানী মামলা অনুশীলনকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এই প্রকল্প নিয়ে এসেছি আমরা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য জাপানের আইনি ব্যবস্থা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করা, যেখানে কেবল মধ্যস্থতার মাধ্যমে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর অগ্রাধিকার দেয়া হয়। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সহ সকল অংশীদারদের সহযোগিতায় ৩ বছরমেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমাদের প্রথাগত পদ্ধতির সাথে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টির সমন্বয়ে আমরা আমাদের ন্যায়বিচারের কৌশল সমৃদ্ধ করতে পারি এবং এটিকে সকলের জন্য আরও কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে পারি।”

সহযোগিতামূলক এই প্রকল্পের অধীনে, আইনি অবকাঠামো শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচারের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কাজ করবে জাইকা। দেশের ভেতর আদালত, আইনি সহায়তা কেন্দ্র ও বিচারব্যবস্থার সাথে যুক্ত সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ন্যয়বিচারের সমৃদ্ধ ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করাই এই প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। মধ্যস্থতা ও দেওয়ানী মামলা অনুশীলনের বিকাশে গুরুত্বারোপ করার মধ্য দিয়ে প্রকল্পটি মানুষের প্রয়োজনের সাথে সম্পর্কিত ও সহানুভূতিশীল আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর