৮ জুন, ২০২৪ ২০:৪১
আবারও কলকাতায় যাবে ডিবি টিম

‘এমপি আনার হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে’

অনলাইন ডেস্ক

‘এমপি আনার হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে’

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ফাইল ছবি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদকে আটক করা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তবে এখনও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে যদি তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় নেপালে আটক সিয়ামকে নিয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়োজনে ফের কলকাতা যাবে ডিবি পুলিশ।

মূলহোতা আখতারুজ্জামান শাহীনকে ফেরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, শাহীন নেপাল থেকে দুবাই হয়ে আমেরিকা চলে গেছে। ভারতে যখন ছিলাম সেখানকার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে। যেহেতু ভারতে হত্যা হয়েছে সেহেতু শাহীন তাদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। আমরাও কাজ করছি তারাও কাজ করছে। আমরা পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি’তে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারা হয়ত ইন্টারপোলের কাছে এসব বিষয় জানিয়েছে। বাংলাদেশের অ্যাম্বাসির সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তবে এইটুকু বলতে পারি আনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যেভাবে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

হারুন বলেন, সিয়ামকে ভারত নিয়ে গেছে। আনারকে হত্যা করে পৈশাচিক কায়দায় গুম করার বিষয়টি জানে সিয়াম ও জিহাদ। এ দুজনই এখন তাদের কাছে রয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করলে ভালো ফল পাবে। প্রয়োজনে আমরাও সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। 

তিনি বলেন, কাঠমুন্ডুতে গিয়ে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে, সেখানে অপরাধের একটা রুট হয়ে গেছে। নেপালের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়েছি। সব তথ্যই নিয়ে এসেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের একটা অর্জন, কারণ আমরা তথ্য দিয়েছি। ভারতও কাজ করছে। দুই দেশের তদন্ত কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার কারণে ভালো ফল আসছে। আমরা যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারাও দায় স্বীকার করেছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর