১০ জুন, ২০২৪ ১৯:১৯

অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন নতুন করে প্রাণ পাবে : প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন নতুন করে প্রাণ পাবে : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে দেশের আদালতগুলোর ভৌত অবকাঠামোর সংস্কার, সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন। আজ বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত তথা প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষ সু-সজ্জিত হয়ে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি এই আয়োজন নতুন দিনের সূচনা মাত্র। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন নতুন করে প্রাণ পাবে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির বিচার কক্ষ আধুনকিায়ন করে উদ্বোধনের পর পুনরায় বিচারিক কার্যক্রম সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে নিজের বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

এই বিশেষ অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য রাখেন। এদিন প্রথমবারের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিচার কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরাসহ প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয়। তবে নিউজ ছাড়া স্থির চিত্র ও ভিডিও অন্য মাধ্যমে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।  

এ সময় প্রধান বিচারপতির বিচার কক্ষে পাঁচজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, আইনজীবীসহ সুপ্রিম রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিরাও এ সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। 

পাঁচজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হলেন বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

নতুন এই এজলাস কক্ষ সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও সমকালীন কাঠামোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির এই এজলাস কক্ষে আমাদের সমৃদ্ধি ঐতিহ্য এবং এই ভবনের আদি শিল্পকর্ম জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এই ভবনের পূর্ব দিকে অবস্থিত বাংলাদেশের মানচিত্র সংবলিত যে নান্দনিক নকশাকর্ম সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনন্য স্মারক হিসেবে আমাদের জনস্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে, তার সাথে সাদৃশ্য রেখেই এই কক্ষের চার পাশের দেয়ালের নকশা করা হয়েছে। একই সাথে তথ্য প্রযুক্তির সাথে সবচাইতে আধুনিক অনুষঙ্গগুলো এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। 

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করতে এ আদালত এখন সম্পূর্ণ সক্ষম।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই আমি বিচার বিভাগের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছলাম। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ঢাকার অধস্তন আদালতে কর্মরত বিচারকবৃন্দ, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। নানান উদ্যোগে সেই পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অধস্তন আদালতে স্বচ্ছন্দ বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার স্বার্থে সকল স্থাপনাগুলোর আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুবিবেচনা এবং সু-দৃষ্টি কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর