১৩ জুন, ২০২৪ ১৬:২৯

যেই হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ব্যবস্থা নিবেন: নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক

যেই হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ব্যবস্থা নিবেন: নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যেই দুর্নীতি করুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার নজির সৃষ্টি করতে পারেনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়নের যারা লক্ষ্য বিচ্যুত হয়ে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন- যেই দুর্নীতি করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শেখ হাসিনা কোন আপোস করবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতিকে না বলে এগিয়ে যেতে হবে। যে দুর্নীতি করেছেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতারা এই নজির সৃষ্টি করতে পারেনি। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা- শীর্ষ সংবাদ চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনের তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ প্রচার করেছেন। লন্ডনে বসে রাজপ্রাসাদ থেকে দেশে দেশের টাকা লুটপাট করে উপভোগ করছেন। আর বিএনপি নেতাকর্মীদের ভুলভ্রান্তি দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারেক রহমানকে তালাক দিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসেন। নয়তো বা আপনাদের ধ্বংস অনিবার্য।

এ সরকার আমাদের প্রধান শত্রু- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। নানক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব ভিতরের কথা বের হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির প্রধান শত্রু। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার, এই সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার, এ সরকার দেশের উন্নয়নের সরকার, কারণ এই সরকার আপনাদের (বিএনপি) বন্ধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী ওই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শুধু ঢেকুর দিলে চলবে না। আমরা পঞ্চম বারের মত সরকার গঠন করেছি। সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জনগণের সমর্থন না পেয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে। 

দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন,  আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুধু রাজধানীতে নয় মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। জানান দিতে হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫ বছরে পূর্ণতা করেছে। সারাদেশের আনাচে-কানাচে জেলা, উপজেলায়, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি পৌঁছে দিতে হবে। এই আনন্দ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। 

আওয়ামী লীগের সাগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত- সেই পরাজিত শক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের মোকাবেলা করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিতে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। এসময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীররা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর