১৫ জুন, ২০২৪ ১৫:৪৬

কমলাপুরে লোকাল ট্রেনের কাউন্টারে যাত্রীদের ভীড়

অনলাইন ডেস্ক

কমলাপুরে লোকাল ট্রেনের কাউন্টারে যাত্রীদের ভীড়

সংগৃহীত ছবি

ঈদযাত্রা উপলক্ষে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট ১০ দিন আগে বিক্রি হলেও মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় যাত্রার দিনে। একই সঙ্গে যাত্রার দিনে পাওয়া যায় আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিটও। 

ফলে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে লোকাল (কমিউটার) ট্রেনের টিকিট বিক্রির কাউন্টারে প্রচুর ভীড় দেখা গেছে। কাউন্টারের সামনে শত শত যাত্রী কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিটের জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন।

অন্যদিকে, কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোয় তুলনামূলক ভীড় কম ছিল। ফলে অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে যাত্রা করছেন যাত্রীরা।

ঢাকা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮টি কমিউটার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করে। আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে বিক্রি করা হয়। ওই টিকিটের জন্যও আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারগুলোতে মানুষের ভীড় আছে। 

যাত্রীরা জানিয়েছেন, কমিউটার ট্রেনে অন্যান্য সময় একটি টিকিট কিনলে একটি আসন দিত। কিন্তু ঈদের সময় তারা চার-পাঁচটি আসন একসঙ্গে না কিনলে সিটসহ টিকিট দেয় না। যেহেতু আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট পাওয়া যায়নি, তাই এটিই এখন শেষ ভরসা। 

লাইনের প্রত্যেকের প্রত্যাশা, আসন না পেলেও অন্তত ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটটা পাবেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, আন্তঃনগর ট্রেনের শুধু শোভন শ্রেণির ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হবে। এতে অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন। চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটারের যাত্রী শফিকুর রহমান বলেন, দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছি। কম ভাড়ার জন্য এই ট্রেন বেছে নিয়েছি। 

আজ সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশন থেকে ২০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই ছেড়ে দেয়। কোনো কোনো ট্রেন ছাড়ে নির্ধারিত সময়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট পর। ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে অনেক যাত্রীকে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে।

কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ সারা দিন ৬৮ জোড়া ট্রেন অন্য গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। সকাল থেকে যতগুলো ট্রেন শিডিউলে ছিল সবগুলোই নির্দিষ্ট টাইমে স্টেশন ত্যাগ করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি নেই।’

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর