৩০ জুন, ২০২৪ ২০:৫০

ধানের জাত ও নমুনা চেয়ে সরকারকে মিল মালিকদের চিঠি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

ধানের জাত ও নমুনা চেয়ে সরকারকে মিল মালিকদের চিঠি

ফাইল ছবি

বস্তার গায়ে মিনিকেট ধানের নাম না লেখার জন্য চাপাচাপি করার পর এবার ধানের জাত ও নমুনা চেয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে কুষ্টিয়ার চালকল মালিকদের সংগঠন। তবে, এতে বস্তার গায়ে ধানের জাতের প্রকৃত নাম ও দাম লেখার সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোন প্রভাব পড়বে না-বলছে স্থানীয় প্রশাসন।  

৩০ জুন রবিবার কুষ্টিয়া অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানান চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত লিখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মিল মালিকদের। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সভাপতি ওমর ফারুক। চিঠিতে তিনি সরকারের তালিকাভূক্ত ধানের জাতের নাম ও নমুনা সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। ওমর ফারুক বলেন- সরকার বলছে মিনিকেট ধান নেই। কিন্তু আমরা এই নামে ধান কিনছি কৃষকদের কাছ থেকে। তাহলে ওই ধানের ক্ষেত্রে বস্তায় কি লিখবো তা জানার জন্যই এই চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, অন্য জাতের ধান থেকে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে লাভবান হন মিল মালিকরা। তাই তারা এসব চিঠি দিচ্ছেন। চিঠিটি উর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা আসলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেছেন- সরকার অনুমোদিত জাতের ধান ছাড়া অন্য নামে যেমন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করার সুযোগ নেই। করতে দেয়া হবে না।

কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০টির মতো অটোমেটিক রাইস মিল থেকে সারাদেশের সরু চালের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয়। ধানের জাত যেটাই হোক এখান থেকে মিনিকেট নামের চালই বেশি সরবরাহ হয়ে থাকে। মিনিকেট চালের চাহিদা বেশি থাকায় বাজার চড়ে যায়। এ কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে যে, চালের বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম ও চালের দাম লিখে দিতে হবে। আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ মিল মালিক বস্তার গায়ে এসব তথ্য লিখছেন না।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর