২ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৫৩

ঢাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ভোগান্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ভোগান্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আয়োজনে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ২টা পর্যন্ত কলাভবনের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আইন প্রণয়ন করেছেন, আমরা তখন স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু আমরা বৈষম্যের প্রত্যয় স্কিমের বিরোধিতা করছি। গতকাল থেকে প্রেস রিলিজ ও বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে পেনশন কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগ-সুবিধা এত দিন কোথায় ছিল? তিন মাস আগে যদি বলা হতো চাকরির বয়সসীমা পঁয়ষট্টি রয়েছে, তাহলে তো এত আন্দোলন হতো না। এখন আন্দোলন স্তিমিত করার জন্য নানান সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে।

তিনি আরও বলেন, ক্লাস, পরীক্ষা না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। এটা সবার জন্য দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষার্থীদের ক্লাস না নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা আশা করব, আমাদের দাবি যখন পূরণ হয়ে যাবে তখন যে সেশনজট বা যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, সেটা আমরা স্পেশাল ক্লাস ও স্পেশাল পরীক্ষা নিয়ে পূরণ করে দিতে পারব।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব দাবি মানা হলেই কর্মবিরতি বন্ধ করে এখনই কাজে যোগদানের কথা ঘোষণা দেন। 

এদিকে প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকায় জরুরি সার্টিফিকেট, মার্কশিট উত্তোলনসহ জরুরি কাজগুলো করতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ উপাদানকল্প ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মেহেদী হাসান বাপ্পি নামে ঢাকা কলেজের এক ছাত্র বলেন, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য এসেছি। আমাদের ফরম ফিলআপের ডেট শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসে দেখি তালা মারা সব রুমে। কী যে পরিস্থিতি। বৃষ্টির মধ্যে মিরপুর ১৪ থেকে এসেছি। কবে যে করতে পারব তারও কোনো ঠিক নেই।

প্রশাসনিক ভবনের সার্টিফিকেট শাখা, মার্কশিট উত্তোলন শাখা জরুরি বিবেচনায় খুলে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব বলেন, এ শাখাগুলো যদি খুলেও দেওয়া হয়, তবুও কোনো লাভ হবে না। কেননা মার্কশিট বা সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য বিভাগের চেয়ারপারসন, হলের প্রাধ্যক্ষ- এনাদের স্বাক্ষর প্রয়োজন। শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতির জন্য তো ওনারা অফিসে আসছেন না। তাই আমরা যদি এ শাখাগুলো খুলেও দিই, তবুও কোনো লাভ হবে না।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর