১৪ জুলাই, ২০২৪ ১৫:৪৪

সিদ্ধান্ত জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, কর্মবিরতি চলবে

অনলাইন ডেস্ক

সিদ্ধান্ত জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, কর্মবিরতি চলবে

ফাইল ছবি

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ‘সন্তোষজনক’ বৈঠকের পরদিন আজ রবিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভায় নতুন সিদ্ধান্ত এলো। অনলাইনে এই সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আজকের সভায় গতকালের বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং এ নিয়ে বিস্তারিত অবহিত হয়েছে। যেহেতু আমাদের দাবি পূরণ হয়নি তাই আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। তবে, গতকালের বৈঠকে আমাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তাই আশা করছি আমাদের দাবি পূরণ হবে।’

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন বাতিল করাসহ তিন দফা দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে ক্লাস পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

এ রকম পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের কর্মবিরতির আহ্বান জানিয়েছি। শিক্ষকরা বলেছেন, ফেডারশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০২৫ সালের ১ জুলাই শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের কার্যকারিতা শুরু হবে। এর আগে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক নয়। সবার পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি হবে ১ জুলাই, ২০২৫। এটা তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি।’

শিক্ষকদের সুপার গ্রেড দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের মর্যাদা ও লিখিত দাবিনামা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর সমীপে উত্থাপন করব। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা আলাপ-আলোচনা করে নেব। আলাপ-আলোচনা করে আশা করি সমাধান আসবে।’

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে, ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আলোচনার বিষয়বন্তু ফেডারেশনের অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর