সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ গ্রেফতার ছয়জনকে চার হত্যা মামলায় আবারও রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
অন্যরা হলেন সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
আজ রবিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম এ আদেশ দেন বলে আদালতে কর্মরত একজন উপ-পরিদর্শক জানান।গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাড্ডায় সুমন সিকদার (৩১) এবং ঢাকার সূত্রাপুরে শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার ও ওমর ফারুকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় পলককে ছয় দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। মামলায় তাকে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ আগস্ট সুমনের মা মাসুমা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনের বিরুদ্ধে এবং নাসরিন বেগম (৫১) বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পোশাকশ্রমিক রুবেল নিহতের ঘটনায় আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় আজ সৈকত ও আহমদ হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত ২২ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া গত ১৮ জুলাই লালবাগে একাদশ শ্রেণির ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় টুকু, জয় ও সোহেলকে আজ তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
গত ১৯ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলাটি করেন খালিদের বাবা কামরুল হাসান। একই মামলায় ২৫ আগস্ট পলক, সৈকত, আহমদ হোসেন, টুকু, জয় ও সোহেলকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলক, শামসুল হক টুকু ও তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছিলেন আদালত। ১৯ জুলাই পল্টনে রিকশাচালক কামাল মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ১৫ আগস্ট পলক, টুকু ও সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সাঈদের মৃত্যুর মামলায় ২০ আগস্ট জয়কে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ