৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৪৭

শুকনা খাবার পেয়ে খুশি বন্যার্তরা

অনলাইন ডেস্ক

শুকনা খাবার পেয়ে খুশি বন্যার্তরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার অষ্টমঙ্গল গ্রামে শুকনা খাবার বিতরণ করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ

জেলা সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের অষ্টজঙ্গল গ্রাম। খাদ্য সহায়তা নিয়ে পিকআপ ভ্যান এসেছে বুঝতে পেরে প্রথমে ছোট্ট দুই শিশু ভেলায় করে আসে। পরে বড়দের কয়েকজন আসেন কোমরের বেশি পানি মাড়িয়ে। বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরাও কম যাননি।

ভেলায় ওঠানো যায় মাত্র ১৫ প্যাকেট শুকনা খাবার। এরপর কোমরের ওপরে ওঠা পানি মাড়িয়ে বন্যায় ডুবে যাওয়া বাড়িতে ছুটে যান তাঁরা। এভাবে বারবার ভেলায় করে নিয়ে বন্যাদুর্গতদের হাতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে পেরে শুভসংঘের বন্ধুদেরও যেন তৃপ্তির শেষ নেই। খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বন্যায় আমরা খুব কষ্ট করছি। এখানে দূর বলে ও অনেক বেশি জল ছিল বলে লোকজন সহায়তা নিয়ে আসতে চাইত না। আপনারা আসায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি।’
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে কসবায় শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার। ওই দিন দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ উপজেলার বায়েক ইউনিয়নে ৫০টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।

সহায়তা পেয়ে বেশ খুশি হয়েছে বন্যার্তরা। পার্থিক পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় ড্রিম ফর ডিস-এবিলিটি ফাউন্ডেশন ও বিনি এনিম্যাল হেলথের উদ্যোগে এ সময় শুভসংঘের সদস্যরা আরো ৭৫ প্যাকেট খাবার বন্যায় আক্রান্ত প্রতিবন্ধী পরিবারসহ অন্যদের মাঝে তুলে দেন। এসব প্যাকেটে ছিল, চিড়া, মুড়ি, টোস্ট বিস্কুট, পানি, ছয়টি করে খাওয়ার স্যালাইন, দুটি মোম ও একটি দিয়াশলাই। বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলার সভাপতি হেদায়েতুল আজিজ মুন্না এই কার্যক্রমের সমন্বয় করেন। এ সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী, চয়ন বিশ্বাস, জুবায়ের নূর, মো. মাসুম, মো. রজমান, মো. কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর