বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন টার্গেট করে জাকাতের কাপড় কেনার হিড়িক

নির্বাচন টার্গেট করে জাকাতের কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে এবার। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার জাকাতের কাপড় বিক্রির হার বেশি। রমজানের শুরু থেকেই জাকাতের শাড়ি ও লুঙ্গির বেচা-বিক্রি জমজমাট। তাদের ধারণা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন টার্গেট করে এবার সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে জাকাতের কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে। গতকাল সরেজমিন নগরীর মতিঝিল, ইসলামপুর, কেরানীগঞ্জ, মিরপুর এলাকায় জাকাতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে এ রকম শোরুমগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বড় বড় কার্টন ও গাঁইট ভ্যান গাড়িতে করে ক্রেতাদের ডেলিভারি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, এ বছর জাকাতের কাপড় বিক্রি হবে দুই-তিনগুণ বেশি। তারা জানিয়েছেন, জাকাতের কাপড়ের ক্রেতাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাই এবার বেশি কাপড় কিনছেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলারা স্থানীয়ভাবে তাদের হারানো সুনাম ফিরে পাওয়ার জন্যও জাকাতের কাপড় দেদার বিলি-বণ্টন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতারা যাদের দীর্ঘদিন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ নেই তারা এখন জাকাতের কাপড় বিলির মাধ্যমে এলাকায় ঢুকছেন। এ দিকে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জাকাতের কাপড় বিতরণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ টেঙ্টাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সূত্র জানায়, ৩৫০টি টেঙ্টাইল মিলসহ অন্যান্য ছোট-বড় লুম ফ্যাক্টরিতে এবার উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে ৬ থেকে সাড়ে ৭ কোটি পিস শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস। মতিঝিলের জাকাতের কাপড় বিক্রির প্রতিষ্ঠান কনক ট্রেডার্সের মালিক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, গত বছর যারা ৫০০ পিস কাপড় কিনেছেন এবার তারা দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার পিসও কিনছেন। রাজনৈতিক নেতারা কাপড় কিনছেন বেশি। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এ বছর অনেক নতুন মুখও রয়েছে, যাদের কাপড় কিনতে দেখা যাচ্ছে। এবার ১১ হাত লম্বা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকায়। গত বছর এই শাড়ি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়। ১২ হাতের মোটামুটি ভালো শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৩১০ টাকা।

সর্বশেষ খবর