রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

মায়ের দুধের বিকল্প নেই

মায়ের দুধের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা তুলে ধরে 'মায়ের দুধের পরিবর্তে বা কৃত্রিম শিশু খাদ্য বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ), ইউনিসেফ, কালের কণ্ঠ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে মায়ের দুধের বিকল্প শিশু খাদ্যের বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ প্রদান বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, মায়ের দুধের বিকল্প হয় না। কিন্তু আধুনিক নারীরা সে বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করে না। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মায়েরা বেশি অসচেতন। এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি। বিকল্প শিশু খাদ্যের পরিবর্তে মায়ের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে উপকারী। মাকে জানতে হবে কোনটা ভালো কোনটা খারাপ। কোনটা খাওয়ালে শিশুর জন্য উপকার আর কোনটা ক্ষতিকর। তাছাড়া কৌটাজাত দুগ্ধে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে তাতে শিশুর শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। এ সময় বক্তারা কৃত্রিম শিশু খাদ্যের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, প্রসার নিষিদ্ধ, খাদ্যের গায়ে লেবেলিং ও আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এসকে রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সম্পাদক সুবাস চন্দ্র সরকার, বিপিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, এ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ড. মো. ইশতিয়াক হোসাইন, ব্র্যাকের কো-অর্ডিনেটর রাইসুল হকসহ প্রমুখ। এ সময় বিবিএফের চেয়ারম্যান ড. এসকে রায় বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুর মেধার প্রসার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পিতা-মাতার সঙ্গে আত্দিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। শিশুর জন্মের পরবর্তী ছয় মাস শিশুর জন্য মায়ের দুধ সর্বোত্তম খাবার। কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, জনসচেতনা সপ্তাহের অংশ হিসেবে আমারা এ আয়োজন করি। শিশুদের মানসিক ও দৈহিক বিকাশলাভের জন্য জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে সব মিডিয়ার এগিয়ে আসা উচিত।

সর্বশেষ খবর