শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নগরবাসীর স্বস্তি

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নগরবাসীর স্বস্তি

এবার কোরবানীর বর্জ অপসারণের ক্ষেত্রে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিন ও উত্তরের সমন্বিত কার্যক্রম নগরবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। ঈদের দিন পশু কোরবানির সময় থেকেই ডিসিসি'র পরিচ্ছন্ন কর্মিরা যাবতীয় বর্জ অপসারণের কাজে বিরতিহীন শ্রম দেন। ফলে ৪৮ ঘন্টার টানা পরিচ্ছন্নতার অভিযানে বেশ সফলতা অর্জিত হয়েছে।

তবে ঈদের তৃতীয় দিনেও কোনো কোনো পাড়া-মহল্লায় কোরবানি দেয়া হয়, ফলে সেসব বর্জ মুহূর্তেই অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে কিছু কিছু এলাকায় এখনও দুর্গন্ধ রয়ে গেছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ অবস্থায় নগরীর অলি গলিসহ সকল রাস্তায় নতুন করে আরেক দফা বি্লচিং পাউডারসহ স্যাভলন-ডেটল ছিটানোর দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত অস্থায়ী পশুহাটগুলো নোংরা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। ডিসিসি'র পরিচ্ছন্ন কর্মিরা জানান, কয়েকটি পশুহাটে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত গরু-ছাগলের উপস্থিতি ছিল। এজন্য হাটগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে শনিবারের মধ্যে এসব হাট এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। ডিসিসির দাবি, ঘোষণা অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ঈদের ৩ দিনের মধ্যেই কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ কাজ শেষ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ডিসিসির ১০টি অঞ্চল থেকে সকল পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিচ্ছন্ন কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পশু বর্জ্য পরিষ্কার হলেও কিছু স্থানে এখনো দুর্গন্ধ রয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রাস্তায় পশু জবাইয়ের পর ভালভাবে পানি দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করা হয়নি। এ কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ডিএনসিসি'র প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা বিপন কুমার সাহা জানান, কেউ যদি এখনও অভিযোগ করে, তাহলে সঙ্গে-সঙ্গে গিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করার প্রস্তুতি রয়েছে।

এদিকে রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হলেও ম্যানহলগুলোতে পড়ে আছে পশু বর্জ্য। সেখানে হাড়, শিং, নাড়ি, মূত্র থলি পড়ে আটকে আছে ড্রেন-নালা। এমনকি রক্ত লেগে আছে আশপাশে। ঢাকা দক্ষিণের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এসএম জাবেদ ইকবাল বলেন, আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা ৪৮ ঘন্টার আগেই সফলভাবে কাজ শেষ করতে পেরেছি। বি্লচিং পাউডার ছিটানোর বিষয়ে তিনি বলেন, পরিষ্কারের কাজ শেষ হওয়ার পরই সব জায়গায় বি্লচিং পাউডার ছিটানোর কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাপ্টেন ইকবাল বলেন, আমাদের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়মিত ৫ হাজার ২০০ জন পরিচ্ছনতা কর্মীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত ৪ হাজার জনবল।

 

 

সর্বশেষ খবর