শিরোনাম
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
টুকুকে কারণ দর্শানোর নোটিস

৩ পুলিশ কর্তাকে প্রত্যাহার দাবি আবু সাইয়িদের

স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বেড়া, সাঁথিয়া ও আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ক্যাডারের মতো ভূমিকা পালন করছেন। তিনি জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ৫টি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পাগলের মতো আচরণ করছেন। তিনি নিশ্চিত পরাজয় জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জায়ায়াত-শিবিরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করেছেন। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস দখল-পাল্টা দখলের ঘটনায় পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের এক সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবু সাইয়িদের গ্রেফতারের গুজব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে সাঁথিয়া ও বেড়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
মামলা দায়েরের পর থেকে সাইয়িদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে পুলিশ-র‌্যাব সদস্যরা। শনিবার রাতে এ ঘটনায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেছেন। 
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহিদ মাহমুদ খান জানান, শনিবার রাতেই বেড়া উপজেলার যুবলীগ কর্মী আরিফুল হককে গ্রেফতার করা হয়। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে। সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, পুলিশ আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও গ্রেফতারের জন্য ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে। শনিবার বিকালে পুলিশ সদস্য নিপেন ও খাইরুলকে নিয়ে আমার বাড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাই। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের প্রশ্নই আসে না। কার্যালয়টি আমার সম্পত্তিতে নিজ টাকায় তৈরি ভবন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন বলেন, পুলিশ নির্বাচনী কর্মীদের হয়রানি নয়, আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। 
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে নোটিস : এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ নোটিস দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার কাজী আশরাফ উদ্দীন জানান, অধ্যাপক আবু সাইয়িদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিকট ব্যাখ্যা চেয়ে গতকাল একটি পত্র ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। অধ্যাপক সাইয়িদ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সরকারি প্রটোকল নিয়ে প্রচারণা, গণসংযোগ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান, মিছিল-মিটিং করছেন।

সর্বশেষ খবর