দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এবং নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোট। একই দাবিতে আগামীকাল রবিবার থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ ও অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, নৌ ও রেল পথ অবরোধের কর্মসূচি পালন করা হবে। এদিকে গতকাল বাদজুমা সারা দেশে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপিসহ ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনের আহবান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গত ৫ জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও অপকৌশল দিয়ে চলমান গণআন্দোলনকে কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না করলে অতীতের স্বৈরাচারদের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে ক্রমান্বয়ে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন। তা ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এখন হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে সংবাদপত্রে তাদের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে হামলাকারী কারা তা চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। মির্জা আলমগীর ১৮-দলীয় জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক ও বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ১৮-দলীয় জোটের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে নির্যাতিত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানান।