সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

পল্লবীতে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা!

রাজধানীর পল্লবীতে গতকাল সকালে পুলিশ হেফাজতে মোহাম্মদ জনি (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ধরে এনে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, মারামারি ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে জনির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জনির মৃত্যু সনদে শারীরিক আঘাতের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। নিহতের মামা আবদুর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাতে পল্লবীর ইরানি ক্যাম্পে জনির বন্ধু বিল্লাল হোসেনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। রাত আড়াইটার দিকে ওই অনুষ্ঠানে হঠাৎ পুলিশ উপস্থিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে তারা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বেধড়ক পিটিয়ে সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই জনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গতকাল সকাল আটটার দিকে জনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শারীরিক আঘাত নিয়ে জনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউজ্জামান জানান, শনিবার দিবাগত রাতে পল্লবী এলাকার ইরানি ক্যাম্প ও রহমত ক্যাম্পের ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনিসহ পাঁচজনকে আটক করে। জনি ওই মারামারিতে আহত ছিলেন। রাতেই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। গতকাল সকালে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিকালে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশ তাকে কোনো মারধর করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
নিহত জনি পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক। তার স্ত্রীর নাম জুগনী বেগম। তাদের হৃদয় নামের ৫ বছরের একটি ছেলে ও হৃতিকা নামের ১ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের বি-ব্লকের ১৪ নম্বর রোডের বাসায় থাকতেন। তার পিতার নাম মৃত মোস্তফা।

সর্বশেষ খবর