সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

বস্তিতে আগুন : ক্ষতিগ্রস্তদের হা-হুতাশ

রাজধানীর মগবাজারের মধুবাগ ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করেছে। সব হারানো মানুষগুলোর বিলাপ থামেনি এখনো। আপাতত আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ পার্শ্ববর্তী মগবাজার টিঅ্যান্ডটি স্কুলে ঠাঁই নিয়েছেন। খাওয়া-দাওয়া চলছে মানুষের দয়ার ওপর। তিল তিল করে গড়ে তোলা সাংসারিক জিনিসপত্র আর নগদ টাকা পুড়ে যাওয়ায় এখন তারা চরম উদ্বিগ্নতায় ভুগছেন। রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাস তাদের অনিশ্চয়তার শঙ্কা কাটাতে পারছে না। গতকাল দুপুরে পরিদর্শনে এসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ক্ষতিগ্রস্ত ৩১১ পরিবারের মধ্যে নগদ ৩ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে হাঁড়ি-পাতিল, টাওয়েল, কম্বল বিতরণ করা হয়। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে বিভিন্ন উপায়ে প্রণোদনা দিয়ে সেখান থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য গ্রামের বাড়িতে রেখে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ব্যাংক ঋণদান করা হবে। শনিবার সকালে মগবাজার মধুবাগ হাতিরঝিল সংলগ্ন বস্তিতে ভয়াবহ অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। পুড়ে যায় অন্তত ৩৭৪টি বস্তি। দুই শিশুসন্তান আর রিকশাচালক স্বামী জিয়ারুলকে নিয়ে গার্মেন্ট কর্মী আবেদা বেগমের মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলেছে মগবাজার টিঅ্যান্ডটি স্কুলে। ক্ষতিগ্রস্ত আবেদা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টিভি, ফ্যান, হাঁড়ি-পাতিল, কাপড়-চোপড় এ নিয়েই সংসার। তাও আগুনে কেড়ে নিল। তিলে তিলে দুজনের জমানো টাকাও ছাই হয়ে গেছে। পরনের কাপড় আর সরকারের দেওয়া কম্বলই এখন সম্বল। নতুন ঘর খুঁজে পেলে এগুলো নিয়েই আবার সংসার গোছানো শুরু করব। সারা দিন ধরে ঘর খুঁজতাছি। নয় তো স্কুলের জায়গায় কয়দিন থাকতে দেবে? 
গার্মেন্ট কর্মী সাথী বলেন, স্বামী আর তিনি মিলে যে টাকা আয় করতেন তা দিয়ে বস্তিঘরে ভালোই ছিলেন। এখন নতুন করে আরেকটা বাসা না পেলে কীভাবে কাজ করব।

সর্বশেষ খবর