বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা
উপজেলা নির্বাচন

৭ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় এ পর্যন্ত সাত বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সর্বশেষ গতকাল রাতে বিএনপির দফতর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বহিষ্কার হওয়া সব নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের স্বার্থবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়। গতকাল বহিষ্কার হওয়া দুই নেতা হলেন বরিশাল দক্ষিণ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান নান্নু এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান মাসুদ। মঙ্গলবার বহিষ্কার হওয়া তিন নেতা হলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা বিএনপির সদস্য আবিদুর রহমান খান রোমান এবং শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন। এর আগে নেত্রকোনোর দুর্গাপুর এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের একজন করে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
কাজী মফিজের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মফিজের ওপর থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নও পেয়েছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশক্রমে দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে গতকাল কাজী মফিজের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ফলে তিনি দীর্ঘ চার বছর বাইরে থাকার পর পুনরায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদে অন্তর্ভুক্ত হলেন।

এর আগে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় স্থানীয় এমপি জয়নুল আবদিন ফারুকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং-তদ্বির করে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে কাজী মফিজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
 

সর্বশেষ খবর