রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

নির্মাণাধীন হাসপাতালের দেয়াল ধসে দুজনের মৃত্যু

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন হাসপাতালের দেয়াল ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন আবদুল জলিল (৪২) ও আসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় আবু তালেব ও সাদ্দাম হোসেন নামে আরও দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালের উত্তর পাশে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। এদিকে কদমতলীতে স্টিল মিলে বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্মাণাধীন ওই হাসপাতালের কেয়ারটেকার আইনুল জানান, বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালের ডা. আহমেদুল কবির স্বপন, জমির মালিক মহসিনসহ ৬-৭ জন মিলে ওই হাসপাতাল গড়ে তুলছেন। তারা নিজেরাই বাজার থেকে শ্রমিক এনে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ তদারকি করছেন। নিহত জলিলের স্ত্রীর নাম রানু বেগম। তাদের চার সন্তান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, মাটি থেকে ১০ ফুট নিচে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তার উপরে একটি প্রটেকশন দেওয়া ছিল। দুপুরে নির্মাণাধীন ওই হাসপাতালের ৬-৭ ফুট উঁচু একটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে চার শ্রমিক চাপা পড়েন। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের কেয়ারটেকার আইনুল ও অন্য প্রজেক্টের সাব কন্ট্রাকটর আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। 
এদিকে শ্যামপুর শিল্প এলাকায় একটি স্টিল মিলে ভাট্টি বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন সঞ্জয় চক্রবর্তী (২৫), মোহাম্মদ রিপন (২৫) ও বিল্লাল হোসেন (৪১)। গতকাল ভোর ৭টার দিকে কদমতলী স্টিল মিলে এ ঘটনা ঘটে। মিলের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন জানান, ভোরে ওই তিন কর্মচারী মিলের কাঁচামাল আগুনে পুড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করছিলেন। এ সময় হঠাৎ ভাট্টি বিস্ফোরণ ঘটলে তারা দগ্ধ হন।
কদমতলী থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক জানান, আগুনে সঞ্জয়ের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া রিপন ও বিল্লালের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। আহতদের মধ্যে সঞ্জয় ও রিপনের অবস্থা গুরুতর হলেও বিল্লাল কথা বলছেন। 

সর্বশেষ খবর