নীলফামারীতে আজ ২০-দলীয় জোটের জনসভা। বিএনপি চেয়ারপারসন, জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন। এ উপলক্ষে তিনি গত রাতে বগুড়া পৌঁছান এবং সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। আজ সকাল ১০টায় তিনি বগুড়া থেকে নীলফামারীর উদ্দেশে রওনা হবেন এবং বেলা ২টায় নীলফামারী হাইস্কুল মাঠের জনসভায় অংশ নেবেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্য থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নীলফামারী জেলা সফরে যাচ্ছে। ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সাঈদ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে গত রাতে তারা বগুড়ায় অবস্থান করেন। গতকাল বিকাল সোয়া ৪টায় গুলশানের বাসা থেকে সড়কপথে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সার্কেট হাউসে পৌঁছান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বগুড়া প্রতিনিধি জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বগুড়া শহরের প্রবেশমুখের ২ কিলোমিটার আগে থেকেই রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানান।
ঢাকার উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর, চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে তাকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়াও সড়কের দুই পাশে ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টারসহ বিভিন্ন রকমের বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। নির্মাণ করা হয় অসংখ্য বর্ণাঢ্য তোরণ। প্লাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানারে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের ছবি শোভা পায়।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, বিএনপিসহ ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নীলফামারী হাইস্কুল মাঠ ও তার আশপাশে ২২৫টি মাইক লাগানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর নীলফামারীতে জনসভা করতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। ফলে জেলাজুড়েই এখন সাজসাজ রব। এ জনসভা সফল করতে জেলা বিএনপি ১৫টি উপ-কমিটি গঠন করে। জনসভার প্রধান সমন্বয়কারী, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু নীলফামারীতে আজ স্মরণকালের বৃহৎ গণসমাবেশ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন।