ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুসহ (৪০) তার পরিবারের চার সদস্যকে খুনের ঘটনায় মূল আসামিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও আসামি হচ্ছেন যশোরের যুবক তনু। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে তনুর স্ত্রী হুসনাসহ ছয়জনকে পুলিশ আটক করেছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, বাচ্চুর বাবা ওয়ারেস আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে তনুসহ সন্দেহভাজন চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর শুরু হয় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান।
গতকাল ভোরে ভালুকার বিভিন্ন স্থান থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তনুর স্ত্রী হুসনা, শ্যালিকা জোসনা, ভায়রা রফিকসহ পাঁচজনকে আটক করে।
এদিকে, ভালুকা মডেল থানা পুলিশ গতকাল সকালে তনুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সোহেল নামে এক যুবককে আটক করে। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার জানান, উপজেলার সিডস্টোর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আবু আহাম্মদ আল মামুন দাবি করেন, পুলিশ এ ঘটনার মূল খুনিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূল খুনিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লবণকোঠা গ্রামে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু (৩৫) ও তার স্ত্রী শেফালী আক্তার পারুলকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের দুই শিশু জিনিয়া আক্তার (৬) ও রিমা আক্তার ওরফে হুসনাকেও (২) শ্বাসরোধে হত্যা করে।