বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

তারেক রহমান \\\'জীবন্ত উন্মাদ\\\'

গাফ্‌ফার চৌধুরী

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান 'তারেক রহমান একজন জীবন্ত উন্মাদ' এই মন্তব্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর। তিনি বলেছেন, 'তাকে (তারেক রহমান) অর্ধ উন্মাদ বললেও সম্মান করা হবে। এই উন্মাদ অবস্থাতেই তার শেষ পরিণতি ঘটবে' বলে মনে করেন 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'- এই অমর গানের রচয়িতা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন অগ্রণী রিসার্চ আয়োজিত 'ইতিহাসের আলোকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ৭ মার্চের তাৎপর্য' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

অগ্রণী রিসার্চের মহাপরিচালক মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, অগ্রণী রিসার্চের পরিচালক নূরউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তারেক রহমানের কটূক্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, তারেক রহমান বীরত্বের সঙ্গে দেশে চেহারা দেখাতে পারেন না। তিনি পালিয়ে বেড়ান। তাকে চিৎকার করতে দিন। তার চিৎকারে বঙ্গবন্ধুর কিছু হবে না। তিনি বলেন, একদিন জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখি-তিনি তারেককে বেল্ট খুলে প্রহার করছেন। রক্তাক্ত তারেকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়াও। শাহীন কলেজে এক মেয়েকে টিজ করার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

দেশ বরেণ্য এই বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন বলে এ কে খন্দকারের প্রকাশিত বইয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্যপদের শপথ নেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন। তবে ৭ মার্চের ভাষণে নয়। এমনকি ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যেখানে 'পাকিস্তান' শব্দটি ব্যবহারের দরকার ছিল, সেখানে 'পূর্ব পাকিস্তান' অথবা 'বাংলাদেশ' শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। এ কে খন্দকারকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। যারা করেছে, তারা জামায়াতে ইসলামীর কেউ না। তারা আমাদেরই লোক। নাম বলতে চাই না। শত্রু বাড়াতে চাই না। তারা নানা সুবিধা পাওয়ার জন্য এসব কথা বলে। তাদের প্যাথলজিক্যাল হেট্রেট আছে, বঙ্গবন্ধুর ওপর, আওয়ামী লীগের ওপর, শেখ হাসিনার ওপর। ৭ মার্চের ভাষণ তার নিজ গুণে আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করেছে।

গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুবার স্বাধীন করেছেন। একবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে। আরেকবার ভারতের সেনাবাহিনীকে বাংলদেশ থেকে নিয়ে যেতে বলে। এটা আরেকটা স্বাধীনতার সমান। জিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে যা-ই করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু দেশে না এলে ইন্ডিয়ান আর্মিদের তাড়াতে পারত না। সে নিজেই বিদেশে পালিয়ে যেত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর