মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি

মংলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫২ ব্যবসায়ী পুনর্বাসন চান

মংলা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫২ জন ব্যবসায়ী তাদের পুনর্বাসনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই দোকানপাট বিগত ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ওই ব্যবসায়ীরা মংলা পুরাতন বাজারে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জায়গা বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের অর্থে মাটি ভরাট করে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫০ বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিলেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ২০০৭ সালে ২৬ জানুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগও দেওয়া হয়নি। এ ধরনের উচ্ছেদের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার পত্রের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নামে ইজারাকৃত স্থাপনা আলোচনা ব্যতিরেকে উচ্ছেদ না করার জন্য জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল। পরে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকেও ২০০৭ সালের জুন মাসে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও মবক চেয়ারম্যান বরাবর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য চিঠি দিলেও এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ১৩ এপ্রিল বাগেরহাট-৩ আসনের (রামপাল-মংলা) সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সভা করেন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের করা মামলা প্রত্যাহার সাপেক্ষে এক মাসের মধ্যে মবক যেসব ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের নামে জায়গা বরাদ্দ করেছে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে। ওই সিদ্ধান্তের পর ব্যবসায়ীরা মামলা প্রত্যাহার করে এর সার্টিফায়েড কপি জমা দিলেও এখনো তাদের পুনর্বাসন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মংলা বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি হাবিব মাস্টার উল্লেখ করেন, বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীরা বরাদ্দকৃত জায়গার ওপর টিনের ছাউনি দিয়ে কোনোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে ত্রিপক্ষীয় সভার সিদ্ধান্ত ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের পত্রানুযায়ী কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ খবর